জান্নাতের কথা এবং অন্যান্য

কুমারেশ তেওয়ারী

à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¨à¦¾à¦¤à§‡à ° কথা

জানতে চেয়েছিলাম কতটা গাঢ় জান্নাতের রং। শুনে হাসতে হাসতে কার্নিসে বসে পা দোলাচ্ছিল এক মিসক্যারেঠœ ভ্রুণ। দোমড়ানো কামরা থেকে গ্যাসকাটাঠ° কীভাবে বের করছে লাশ দেখতে গিয়ে এক ছন্দের কবিতা হারিয়ে ফেলেছিল তার বাক।

চিয়ারলিডার ের খোলা উরুতে দৃষ্টি পেতে দেয় যে সমস্ত অনস্ক্রিন দর্শক তারা যে বার্ড-ওয়াচঠ¾à¦° হতে পারবে না জীবনকালে এ নিয়ে কোনো দ্বিধা ছিলো না কুয়োর জল ও বালতির। ফুটে থাকা পদ্মের শাশ্বত মুদ্রার কাছে তাই উড়ে বেড়াচ্ছিল যে মৌমাছিরা বারবার চোখ ধুয়ে নিচ্ছিল পদ্মমধুতেà¥

জানতে চাইনা আর জান্নাতের রং। মুক্তোর ভেতর থেকে বের হয়ে আসা শামুককে রেখে দিয়ে এসে যে কোনো পুকুরে, আঁকতে বসবো বাকলের অণু চিত্র শূন্য ক্যানভাসেॠ¤

মেধাবী কুহক

অনুসন্ধিৎঠার কিছু আবহ থাক পাঁজরে সিনানে আর গোপন গলিতে। ভালো লাগে রহস্যের ডানার পালকে জড়ানো কুহকের জাল। যার বিস্তারে দেহের ভেতরে থাকা কোকিলের ডাকে আরও মধু জমে ওঠে। শঙ্খধ্বনি থেকে গন্ধমধু চেটে খায় আলপথে পড়ে থাকা বর্ণান্ধ সাপ।

যারা পুকুরের কাছে এসে ভুলে যায় চান করতে অথবা বুঝতে পারেনা জলের কতটা গভীরে গেলে প্লবতার ভাষা বোঝা যায়। তাদের ভেতরে কোনো নৌকো নেই বলেই জানেনা স্রোতের বিপরীতে নৌকো চালানোতে যতটা আনন্দ ততটা নেই অভিমুখে।

মেঠোপথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তারা শুধু দেখে হেটমুণ্ড উর্ধপদ ঈশ্বরের নিচে অসম্ভব তীক্ষ্ণ হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক নবীন ঈশ্বরী।

কলাবৃত্ত

একাকী মূর্তির মতো থেকে যায় বিরহকণারাॠআলফাজের নিজস্ব তরলে সিনানপর্বৠর শেষে এক সুরেলা পাখিপালক উড়ে যায় দিগ্বিদিকৠ‡à¥¤ তামাকের পোড়া গন্ধ খেয়ে দেয়ালে টাঙানো কৃষ্ণ ও তার বাঁশি ক্রমশ ম্লান হতে হতে হয়ে যায় বাঁশবনে মরে থাকা মৃত জোনাকির মতো।

সমস্ত আকাশ জুড়ে ওড়াউড়ি করে পাগলের হাসি। রেসকোর্স ঘুম ভেঙে শোনে তীব্র খুরের শব্দ তুলে ঘোড়ারা মিলিয়ে যায় কোন এক অনন্তের দিকে। টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে থাকে সব সারাৎসার।

একাকী বয়ে যাওয়া মন্দাকিনিঠভেতরে অসম্ভব জলসংকট নিয়ে দৌড়তে দৌড়তে এসে মিলিয়ে যায় শুধু চৌষট্টি রকমের জটলা।

ক্রলার

সরীসৃপ নিয়ে বহু কথায় তো বলার থাকে। যেমন সরীসৃপের চলনের সঙ্গে শয়তানের চলার কিছু মিল খুঁজে পেতেই পারে যে কোনো একাকী পুতুল। অবশ্য পুতুলেরও কিছু প্রকারভেদ আছে। কোনো পুতুল থমথমে ভয়ের ভেতর থেকে বের হয়ে আসে ছিন্নমস্তঠর রূপে। তখন তার জন্মলগ্ন নিয়ে কথা বলার সাহস দেখায় না কেউ। কোনো কোনো পুতুল আবার ঠাকুরঘরে প্রার্থনা কড়তে করতে দেখে হাই তুলতে তুলতে ঘুমিয়ে পড়ছে ঈশ্বর।

তবে সরীসৃপের অনেক ক্ষমতার মধ্যেও কিছু à¦«à¦¾à¦à¦•à¦«à§‹à¦à¦•à¦°à “ আছে। শীতল রক্তের বলে তাদের রোজ রোদের ভেতরে বসতে হয় কিছুক্ষণ। এই সময়ই খুব অরক্ষিত থাকে তারা।

আবার হাইবারনেশঠ¨à§‡à¦° কালে যে কোনো সরীসৃপকে দেখে জেগে উঠতে পারে এতটাই মায়া যে ভুলে যেতেই পারো জেগে উঠলেই তারা আদতে এক ক্রলার।

ফেসবুক মন্তব্য

Copyrights © 2016 All Rights Reserved by বম্বেDuck and the Authors
Website maintained by SristiSukh CMS
kusumarghya@yahoo.com